শুভ জন্মদিন দুবনা
একটু একটু করে দুবনা ৬০ বছরে পা দিলো, সাধারণ মানুষের রিটায়ার করার বয়স, যদিও শহরের জন্য এটা শৈশব থেকে কৈশোরে প্রবেশ। আমি যখন ১৯৯৪ সালে দুবনা আসি কাজ করতে, তখনও জন্মদিন পালনের রেয়াজ চালু হয়নি। যদি ভুল না করি, ১৯৯৭ সালে প্রথম বারের মতো দুবনা জন্মদিন পালন করে, পরে সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে এর পরিধি, আজকাল এই দিনটির জন্য অনেকে অপেক্ষা করে। ২০০৯ সল্ পর্যন্ত আমি বাচ্চাদের নিয়ে যেতাম সারাদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান। এর পর ওরা মস্কো চলে গেলে তেমন তা আর যাওয়া হয় না। ২০১২ থেকে অবশ্য এই সময়টা প্রায়ই বাইরে থাকি, যদিও গত বছর সেভা এখানে থাকায় ওকে নিয়ে ঘুরেছি। এবার ওরা সবাই বাইরে, আমি যাইনি তাই ভাবছিলাম কিভাবে দিনটা কাটানো। শেষ পর্যন্ত উপায় বেরুলো। বেশ কয়েক বছর আসি আসি করেও আসতে না পেরে এবার শেষ পর্যন্ত মুকুল ভাই এলেন। গত ২২ বছরের দুবনা জীবনে খুব বেশি বাঙলাদেশী পুরানো বন্ধু আসেনি এ দিকে। ২০০১ সালে প্রথম এসেছিলো টিটু, সৌমিত্র আর মিতুল। ২০০৯ এ মাসুদ, ২০১২ যুগল, আর এবার মুকুল ভাই। তাই এখানে যেকোনো বাংলাদেশী বন্ধুর আগমনই উৎসবের মতো। সারা দিন হাটাহাটি, পুরানো দিনের গল্প, একটু খাওয়া-দাওয়া (এটা আমার জন্য কখনো মুখ্য নয়, তাই কেউ আসলে ওরা খাওয়ার থেকে না খেয়েই থাকে বেশি, তাই যাদের বাড়তি ওজন, এই ভ্রমণটা একটু ডায়েট ট্রিপ হিসেবে কাজ করতে পারে), আর শেষ পর্যন্ত ভলগা নদীতে সাঁতার। যাকে বলে এক্টিভ রেস্ট। আমি ১৯৮৩ তে যখন মস্কো আসি, মুকুল ভাই তখন দুই বছরের মস্কো জীবনের মালিক। ১৯৮৪ তে ওর যখন ১০ নম্বরে উঠে আসে, ওদের ঘর ছিল আমাদের আড্ডার প্রাণকেন্দ্র। ওই সময় কত রাত যে ওদের (মুকুল ভাই আর পার্থদা তখন এক সাথে থাকতো) ঘরে কাটিয়েছি। এদিক থেকে দেখলে এটা ছিল প্রায় ৩০ বছর পরে পাল্টা ভিজিট। আসা করি এটাই শেষ ভিজিট নয়।
২৬ জুলাই ২০১৬
Comments
Post a Comment